লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নদীর তীরবর্তী স্থানে বাল্কহেড, বেকু মেশিন ও ১১টি ট্রাক্টর নিজ জিম্মায় রাখা এবং কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ও নদীর চর কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ঘটনায় পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
গত ১২ ডিসেম্বর উপজেলার ২ নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট এলাকায়,রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচালিত অভিযানে মহসিন বকাউল (২৫)-কে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার পর আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রায়পুর শহরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন দণ্ডপ্রাপ্ত মহসিন বকাউলের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, মহসিন বকাউলকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।পরিবারের দাবি, মহসিন বকাউল বাল্কহেড, বেকু মেশিন ও ১১টি ট্রাক্টর মাটি কাটার উদ্দেশ্যে আনেননি।কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ও নদীর চর কাটার বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা। তিনি কেবলমাত্র টাকার বিনিময়ে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নদীতে ভাটা থাকায় ও রাত হয়ে যাওয়ায়, নদী সংলগ্ন স্থানে বাড়ি হওয়ায় তাকে পাহারাদার হিসেবে রাখা হয়েছিল বলেও তারা জানান। তারা বিষয়টি পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—মহসিন বকাউলের পিতা আনোয়ার বকাউল,মাতা খোরসেদা বেগম,শ্বশুর খোলিল হাওলাদার, স্ত্রী মরিয়ম বেগম, ছোট ভাই জসিম বকাউল।
দণ্ডপ্রাপ্ত মহসিন বকাউলের বাড়ি রায়পুর উপজেলার ২ নম্বর উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরগাসিয়া গ্রামের বকাউল বাড়ি।